
#মালবাজার: প্রায় পাঁচ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে মাল পৌরসভার বায়ো ফার্টিলাইজার প্লান্ট। বন্ধ এই প্লান্ট হয়ে উঠেছে বিভিন্ন অসামাজিক ঠেক। তখন ২০১৭-১৮ সাল, মাল পৌরসভা এলাকায় বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। শহরকে সাজাতে যেমন সুন্দর্যায়ন করা হয়েছিল তেমনি কর্মসংস্থান মূলক বেশ কিছু প্রকল্প রুপায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এইরকম ভাবে মালবাজার শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে মাল নদীর ধারে শ্মশান ঘাটের পাশে পৌরসভার পক্ষ থেকে নির্মিত হয় একটি বায়ো ফার্টিলাইজার প্লান্ট।

লক্ষ্য ছিল শহরে সমস্ত জৈব আবর্জনা একত্রিত করে বিভিন্ন প্রসেসিং এর মাধ্যমে তার থেকে জৈব সার তৈরি করা। লক্ষ অনুযায়ী নির্মিত হয় প্লান্ট ভবন। বিভিন্ন রকমের মেশিনপত্র বসানো হয়। নির্দিষ্ট দিনে প্রক্রিয়াকরণ চালু হয়। শহরের বিভিন্ন মন্দিরের ফেলে দেওয়া ফুল বেলপাতা , বাজারের জৈব বর্জ্য একত্রিত করে বিভিন্ন মেশিনের মাধ্যমে শুরু হয় জৈব সার তৈরি। পৌরসভার পক্ষ থেকে একটি সংস্থাকে এই প্লান্ট পরিচালনার ধার দেওয়া হয়েছিল।

প্রথমদিকে উৎপাদন ভালোই হচ্ছিল বাজারে জৈব সারের চাহিদা ও ভালো ছিল। কিন্তু, বছর খানেক চলার পর আর্থিক সমস্যায় পড়ে পরিচালন সংস্থা। কর্মীদের বেতন বকেয়া হয়ে যায়। প্রয়োজনীয় অর্থ না পেয়ে পরিচালন সংস্থা প্লান্ট বন্ধ করে চলে যায়। তারপর থেকে গত পাঁচ বছর ধরে এভাবেই পড়ে রয়েছে পৌরসভার বায়োফার্টিলাইজার প্লান্ট। এই সুযোগে প্লান্ট চত্বরে শুরু হয়েছে অসামাজিক ঠেক। দিনে রাতে গাঁজা মদের আসর বসে বলে জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন। শ্মশান যাত্রী অনেকের নজরে আসে এই ঘটনা।

২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলিন গোলদার এনিয়ে জানান, পৌরসভার পক্ষ থেকেই ওই প্লান্ট নির্মাণ করা হয়েছিল। উদ্যোগ ভালোই ছিল তবে পরিচালন সংস্থা অর্থ সংকটে পড়ে প্লান্ট বন্ধ করে চলে যায়। তারপর চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এই প্লান্ট চালু থাকলে একদিকে যেমন জৈব আবর্জনা রিসাইকিলিংয়ের মাধ্যমে জৈব সারে রূপান্তরিত হতো তেমনি সুলভ জৈব সার সম্ভব ছিল। কিন্তু, এই প্লান্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এক ভালো উদ্যোগ বাতিল হয়ে গেছে।





