
#মালবাজার: পাকারাস্তা ও পানীয়জলের দাবি নিয়ে মালের ভিডিওকে স্মারকলিপি দিল গুরজংঝোড়ার শ্রমিকরা। মালবাজার শহরের উত্তরে মাত্র ২ কিমি দূরে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন গুরজংঝোড়া চাবাগান। চাবাগানের কারখানা থেকে প্রায় ৪ কিমি দূরে রয়েছে বালি লাইন শ্রমিক মহল্লা।প্রায় ১৫০টি পরিবারের বাস এই বালি লাইন শ্রমিক মহল্লায়। কারখানা থেকে এই শ্রমিক মহল্লায় যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে।

২০১৮ সালে মাত্র ৭০০ মিটার সিসি রোড হলেও বাকি ৩.৩০০ মিটার রাস্তা বেহাল হয়ে রয়েছে। দুদিকে চাবাগান এবং নির্জন পথে রয়েছে চিতাবাঘের উপদ্রব। ছোটো পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে ভয় পায়। রাস্তার হাল এতটাই খারাপ যে কয়েক বছর আগে এক গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় গর্ভপাত ঘটে যায়। এই কারণে পাকা রাস্তার দাবীতে সোচ্চার হয়েছে বালি লাইন শ্রমিক মহল্লার বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার ওই শ্রমিক মহল্লার বাসিন্দারা পশ্চিম বঙ্গ চা মজুর সমিতির ব্যানারে মিছিল সহ এসে বিডিও অফিসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং স্মারক লিপি দেন। বাসিন্দাদের পক্ষে অর্জুন মিজার, আরজু খেরিয়া, সুনু ওঁরারা জানান, রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ যে যাতায়াত করা মুশকিল হয়ে যায়। বিশেষ করে বর্ষার সময় সমস্যা বাড়ে।

চিতাবাঘের ভয়ে স্কুল পড়ুয়ারা একাকী এই রাস্তা দিয়ে যেতে চায় না। ২০১৮ সালে ৭০০ মিটার সি সি রোড হয়েছিল তারপর আর কিছুই হয়নি। এছাড়াও আমাদের এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। দুটি নলকূপ রয়েছে তারমধ্যে একটি অকেজ একটি স্থানীয় রায় মেরামত করে ব্যবহার করে। এই দুটি দাবি নিয়েই আমরা স্মারকলিপি দিতে এসেছি। এর আগেও এই দাবি নিয়ে আমরা এসডিও’য়ের কাছে স্মারক লিপি দিয়েছি।

এদিন বিডিও একটি বিশেষ কাজে ব্যস্ত থাকায় শ্রমিকরা বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক অরিঞ্জল ভৌমিকের হাতে স্মারক লিপি তুলে দেন। অরিঞ্জল বাবু জানান, ওনারা এসেছিলেন আমি ওনাদের দাবি গুলি শুনেছি এবং লিপিবদ্ধ করেছি।ওনারা স্মারক লিপি দিয়েছেন। আমি বিডিও সাহেবের কাছে সামগ্রিক বিষয় রিপোর্ট করব।




