Explore

Search

May 7, 2025 12:33 am

IAS Coaching

“ক্র্যাশ ব্ল্যাকআউট”: সীমান্ত যুদ্ধের আবহাওয়ার মধ্যেই বুধবার দেশ জুড়ে নজিরবিহীন নিরাপত্তা মহড়া

#নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধে ভারত পাকিস্তান সীমানায় যুদ্ধের আবহাওয়া।আর সীমান্তে উত্তেজনার পারদ চড়তেই আগামীকাল বুধবার সারা দেশে নজিরবিহীন নিরাপত্তা মহড়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ৫৪ বছর পর এই প্রথমবার, এই ধরনের একটি বড় মহড়া হতে চলেছে, যেখানে ‘ক্র্যাশ ব্ল্যাকআউট’ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। ব্ল্যাকআউট মানে, নির্দিষ্ট সময়ে শহরের সমস্ত আলো নিভিয়ে ফেলা — যার মূল উদ্দেশ্য, শত্রুপক্ষের বিমান হামলা ঠেকানো এবং জনজীবনের ক্ষয়ক্ষতি কমানো।

আগে জেনে নেওয়া যাক, কেন ব্ল্যাকআউটের প্রয়োজন হয়?
ব্ল্যাকআউট মূলত শত্রু বিমানচালকদের বিভ্রান্ত করার কৌশল। সরকারি ওই নথিতে বলা হয়েছে, “যদি কোনও এলাকা সম্পূর্ণ অন্ধকার থাকে, তাহলে পাইলটের মানসিক উদ্বেগ বেড়ে যায় এবং টার্গেট নির্ধারণ করা কঠিন হয়।” এই কারণে ব্ল্যাকআউটের সময়ে এমনভাবে আলো নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে, যাতে ৫,০০০ ফুট উচ্চতা থেকে কোনও আলো দৃশ্যমান না হয়।
ব্ল্যাকআউটের নিয়ম অনুযায়ী, স্ট্রিট লাইট, কারখানার আলো এমনকি যানবাহনের হেডলাইটও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বড় শহরের বাজার এলাকায় আলোকিত বিজ্ঞাপন একেবারে নিষিদ্ধ। তবে নথিতে বলা হয়েছে, সম্পূর্ণ অন্ধকারের পরিবর্তে নিয়ন্ত্রিত আলো ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে জনজীবন একেবারে স্তব্ধ না হয়ে পড়ে।

ব্ল্যাক আউটের সময়ে কী কী নিষিদ্ধ, কী কী অনুমোদিত?
ব্ল্যাকআউট চলাকালীন, কোনও বাড়িতে এমনভাবে আলো ব্যবহার করা যাবে না, যাতে সেটি বাইরে থেকে দেখা যায় বা উজ্জ্বলতা ছড়ায়। বাড়ির বাইরের অংশে কোনও আলো জ্বালানো যাবে না। রাস্তায় আলো থাকলেও, সেটি এমনভাবে দিতে হবে যাতে তা কেবল নিচের দিকে পড়ে এবং ২৫ ওয়াট বাল্বের আলোর চেয়ে বেশি উজ্জ্বল না হয়।
যানবাহনের ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম
গাড়ি এবং অন্যান্য যানবাহনের আলো ঢেকে রাখতে হবে। দুটি পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে সরকারি নথিতে। এক, কাঁচের ওপর বাদামি কাগজ চাপিয়ে দেওয়া, দুই- কাগজের ডিস্ক দিয়ে হেডলাইট ঢেকে ছোট একটি সরু ফাঁক রাখা। এমনকি হাতের টর্চ পর্যন্ত কাগজে মুড়ে রাখতে হবে, যাতে অতিরিক্ত আলো না বেরোয়।

চার ধরনের সতর্কবার্তা প্রচলিত:
‘এয়ার রেইড মেসেজ – ইয়েলো’:
প্রাথমিক গোপন সতর্কবার্তা, সাধারণত জনসাধারণকে জানানো হয় না।

‘এয়ার রেইড মেসেজ – রেড’:
আক্রমণের আশঙ্কা প্রবল, জনসাধারণকে সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করা হয়।

‘এয়ার রেইড মেসেজ – গ্রিন’:
বিপদ কেটে গিয়েছে, হামলাকারী বিমান সরে গেছে।

‘এয়ার রেইড মেসেজ – হোয়াইট’:
প্রাথমিক সংকেতটি ভুল ছিল বা হামলার আশঙ্কা মুছে গেছে। এই গোটা প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য একটাই — যুদ্ধকালীন বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার আগে জনসচেতনতা ও প্রস্তুতি।

Advertisement
Live Cricket Score
upskillninja