
#মালবাজার: চা বাগান ঝোড়ায় বাধ দিয়ে জল আটকে সেচের কাজ চালাচ্ছে। এতেই শুকিয়ে গেছে কুয়ো, পুকুর থেকে ঝোড়ার নিম্ন অববাহিকা। তীব্র জল সংকটে পড়েছে মাল ব্লকের পশ্চিম ডামডিম বেদগুড়ি সহ বেশ কিছু শ্রমিক মহল্লা ও গ্রামীণ এলাকা। স্থানীয় মানুষ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য এই সমস্যার জন্য চা বাগানের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে।
ডুয়ার্সে তিস্তা নদীর পূর্বপার থেকে ডায়না নদী পর্যন্ত রয়েছে বেশ কিছু চা বাগান। এই চা বাগান গুলির মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে অসংখ্য ঝোড়া ও বেশ কিছু নদী।

বর্তমানে বৃষ্টিহীন শুখা মরশুম চলছে। চা গাছ ভর্তি হয়ে এসেছে সবুজ পাতা। এই সময় চা বাগান গুলোকে পাম্প মেশিনের সাহায্যে জল তুলে চা গাছে সেচ দিতে হয়। জলের জন্যে চা বাগান গুলি এইসব ঝোড়া গুলোতে বাধ দিয়ে পাম্পের সাহায্যে জল সংগ্রহ করে। প্রবাহমান ঝোড়া আটকে দেওয়ার ফলে নিচু এলাকায় বস্তি এবং গ্রাম অঞ্চলে তৈরি হয় জল সংকট। গত কয়েক বছর ধরে এই সংকট বেড়েছে। এমনটাই অভিযোগ মাল ব্লকের ডামডিম গ্রাম পঞ্চায়েতের বেতগুড়ি চা বাগান সহ পশ্চিম ডামডিম, খাগড়া বস্তি এলাকার মানুষদের।

বেতগুড়ি চা বাগানে পঞ্চায়েত সদস্য অজিত বারহা এবং স্থানীয় বাসিন্দা রাজেন টোপ্পো জানান, আমাদের এই এলাকার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ছিল কালিখোলা ঝোড়া। শ্রমিক মহাল্লার বাসিন্দারা ঝোড়ার জলে স্নান থেকে কৃষি কাজ করত। গত দুই বছর ধরে দেখা যাচ্ছে এই ঝোড়ার উজানে থাকা রানীচেরা চা বাগান কর্তৃপক্ষ ঝোড়ায় বাধ দিয়ে জল আটকে চা গাছে সেচ দিচ্ছে। এর ফলে নিচু এলাকায় জল সংকট তৈরি হয়েছে।

কুয়ো, পুকুর সহ কৃষি জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। আমরা ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ব্লক প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেব। একই অভিযোগ মাল ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সৈকত দাসের। তিনি বলেন রানীচেরা চা বাগান কর্তৃপক্ষ বেআইনিভাবে ঝোড়ার জল আটকে সেচ দেওয়ার কারণে নিচু এলাকায় জল সংকট হয়েছে। সেচ দপ্তর ও ব্লক প্রশাসনের উচিত বিষয়টি দেখার।

এ নিয়ে রানীচেরা চাবাগানের ম্যানেজার বলবিন্দার সিং বাজুয়া বলেন, আমরা কোন প্রকার নদীর প্রবাহ নষ্ট করিনি। পরিবেশের ভারসাম্য খারাপ করিনি। এ সময় প্রাকৃতিক কারণেই ঝোড়া গুলি শুখিয়ে যায়। তাই আমরা অনুমতি নিয়ে মাটি খুঁড়ে জল বের করছি। সেই সি-পেজ ওয়াটার থেকেই সেচ দিচ্ছি। এটা কোন অবৈধ কাজ নয়। এনিয়ে সেচ দপ্তরের এক বাস্তুকার বলেন, যদি কেউ এরকম অভিযোগ করেন তবে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।




