
#মালবাজার: বা গড়াকোটের লুপ-পুল শুধু পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ায়নি দিয়েছে কর্মসংস্থান। মাল ব্লকের বাগড়াকোট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চাঁদমারি থেকে চাবাগান, জঙ্গল পেরিয়ে পাহাড় কেটে তৈরি হচ্ছে ৭১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা পৌঁছে দেবে সিকিম পর্যন্ত। জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই জাতীয় সড়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে দ্রুত গতিতে নির্মাণ কাজ চলছে।

বাগড়াকোট, চুনাভাটি অতিক্রম করে এই পথ ধরে খানিক এগোলেই দেখা মিলবে পাহাড়ের কোলে ইংরাজির আটের(8) মতো সুদৃশ্য লুপ ব্রিজ। স্থানীয় লোকজন নাম দিয়েছে জিলিপি ব্রিজ। বর্তমানে এই সেতু পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্যনের কেন্দ্র। প্রতিদিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ এই সেতু দেখতে আসেন। প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের মাঝে এই ব্রিজ বর্তমানে পর্যটকদের এক গন্তব্য। প্রতিদিন বহু মানুষ এখানে আসেন। গাড়ি থামিয়ে সেলফি তোলেন।

এই কারণে বেলা পড়তেই ভিড় জমে যায়। ভীড় নিয়ন্ত্রণ করতে এখন পুলিশ থাকে। মানুষের ভীড় বাড়তেই পাহাড়ি রাস্তার পাসে অস্থায়ী গড়ে উঠেছে ফাস্ট ফুড ও চায়ের দোকান। বাহারী ফুলের চারা বিক্রির দোকান। মুলত বাগরাকোট ও চুইখিমের কিছু যুবক যুবতীরাই এই দোকান চালায়। নৈসর্গিক সুন্দর পরিবেশে এক কাপ চা খাওয়ার আনন্দই আলাদা থাকে। সৌজন্য অনেকেই এখানে আহার গ্রহণ করে।

বাগড়াকোটের এক মহিলা জানালেন, প্রতিদিন সকালে মালপত্র নিয়ে আসি আবার বিকেলে ফিরে যাই। মোমো, চাউমিন, সেলরুটি তৈরি করি। টুকটাক বেচাকেনা হয়”। খেয়ে দেখা তার গুনগত মান ভালোই। এভাবেই লুপ- ব্রিজের টানে পর্যটকরা আসছে আর পর্যটকদের পরিষেবা দিতে নিত্যনতুন ভাবে তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী দোকান। এভাবেই তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থানের এক নতুন দিশা।





