
#মালবাজার: শনিবার দোল উৎসবে মেতে উঠলো ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত। ডুয়ার্সের দোল উৎসবের এক আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। দেশের অন্যান্য প্রান্তে সাধারণত পূর্নিমার দিন পুজা দিয়ে দোল উৎসব পালন করা হয়। কিন্তু, ডুয়ার্সের পূর্নিমার পর দিন দোল উৎসব পালিত হয়। সেই ঐতিহ্য মেনে শনিবার সকাল থেকে রঙ খেলতে আবালবৃদ্ধবনিতা প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। সকালের প্রাতরাশের পর কচিকাচারা বালতিতে রং গুলে বাড়ির রাস্তার সামনে দাড়িয়ে পড়ে।

পথ চলতি মানুষের গায়ে পিচকিরি দিয়ে রং ছড়িয়ে দিতে শুরু করে। কেউ তাতে বিরক্ত হয় আবার কেউ আনন্দে বরণ করে নেয়। একটু বেলা গড়াতেই বাড়ির মেয়ে বউরা বেরিয়ে পড়ে হাতে আবির ও রং নিয়ে। শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে দেখা যায় মহিলা বাহিনীর দোল উৎসব। নিজেরাই পরস্পরের মুখে রং মাখাচ্ছে এবং মাইকের গানে নেচে চলছে। দেখে মনে হল দেখে মনে হলো এদেশ বোধহয় আনন্দের দেশ। বাইকে চেপে যুবক যুবতীরা রং মেখে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। চোখে মুখে সবার আনন্দের ছাপ উচ্ছ্বাসে।

দোল উপলক্ষে ডুয়ার্সের চা বাগান গুলোতে ছুটি থাকে। স্বাভাবিকভাবেই চা বাগানে শ্রমিকরা দোল উৎসবে মেতে ওঠে। গুডহোপ চা বাগানে ফুটবল মাঠে দেখা গেল সমবেত শ্রমিকরা আবির মেখে দোল খেলছেন। ছোট ছোট শিশুরাও তাদের সঙ্গে রয়েছে। চালসা কালীবাড়িতে দেখা গেল বসন্ত উৎসব। নাচেগানে মেতে সবাই রং খেলছেন। এবার দোল উৎসব উপলক্ষে পুলিশের নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ছিল পুলিশি নিরাপত্তা। বাইক আরোহীদের নিয়ন্ত্রণ করা এবং তাদের বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠানোর করেছে পুলিশ। পড়ন্ত বিকাল পর্যন্ত চলে দোল উৎসব।






