Explore

Search

April 18, 2025 1:09 pm

IAS Coaching

স্বামী ও স্ত্রীর জোরা মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য এলাকায়

#মালবাজার: এলিফ্যান্ট ওয়াচ টাওয়ারে স্ত্রী’র ঝুলন্ত এবং নিচে পড়ে থাকা স্বামীর দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো মাল ব্লকের কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।সোমবার ভোরে  কান্তদিঘী কুমার পাড়া এলাকায় একটি এলিফ্যান্ট ওয়াচ টাওয়ার এর সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় এক মহিলা এবং সেখানেই মাটিতে মৃত অবস্থায় পড়েছিল এক ব্যক্তি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তি রবিউল ইসলাম(৩৬) এবং আজমিরা খাতুন (২৩)  সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তবে মৃত ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন আজমিরা। প্রথম স্ত্রী মুন্নী খাতুনের সম্মতিতেই মাস খানেক আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন রবিউল। আগের পক্ষের দুই সন্তান রয়েছে রবিউলের। রবিবার দুপুরে রবিউল তার দুই স্ত্রী ও‌ সন্তানদের নিয়ে মুন্নি খাতুনের বাপের বাড়ি যায় নেমন্তন্ন রক্ষার জন্য।
তারপর সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ এলিফ্যান্ট ওয়াচ টাওয়ার এর সাথে আজমিরা খাতুনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে স্থানীয়রা। সেখানেই মাটিতে নিথর অবস্থায় পড়েছিল রবিউল ইসলাম। স্থানীয়দের অনুমান দড়ির ফাঁস ছিড়ে নিচে পড়ে যায় রবিউল। পরবর্তীতে স্থানীয় গ্রামবাসীরা মালবাজার থানায় খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ গুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এই রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে থমথমে পরিবেশ কান্তদিঘী কুমার পাড়ার এলাকায়। মৃত মহিলা আজমিরা খাতুনের পরিবারের পক্ষ তার বাবা জয়নুল ইসলাম  মাল থানায় খুনের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছেন। পরিবারের অভিযোগ, সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের মেয়ে এবং জামাইকে প্রথম স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা  হত্যা করে ওয়াচ টাওয়ারের ঝুলিয়ে দিয়েছে। তারা এর সঠিক তদন্ত দাবি করছি।
Advertisement
Live Cricket Score
upskillninja