
#মালবাজার: জটিল রোগে ভুগছিলেন এক মহিলা। শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন। রোগীর নাম বিমলা তামাং। বাড়ি গরু বাথানের গৈরিগাও বস্তি এলাকায়। তার পেটে ব্যথা সহ নানা সমস্যা ছিল। বয়স ৪০ হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে তার গলব্লাডারে পাথর রয়েছে। পাশাপাশি ডিম্বাশয়ও টিম্বার রয়েছে। দুটি অপারেশন করতে হবে। সাধারণত পৃথকভাবে দুটি অপারেশন করতে কয়েক মাসের ব্যবধান হয়।

আর্থিক খরচও হয় বেশি হয়। রোগীর পরিবারের পক্ষে সেই খরচ বহন করা কষ্টকর ছিল। মালবাজারের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় এই অপারেশন করা এতদিন সম্ভব ছিল না। মালবাজারের কেলটেক্স মোড়ের “কেয়ার এন্ড কিওর”নাৎসিংহোমে চিকিৎসকদের টিম অসাধ্য সাধন করেছেন। মালবাজারের মতন পরিকাঠামোতেই। একসাথে দুটি অপারেশন সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মাইক্রো সার্জারির মাধ্যমেই গত শুক্রবার এই অপারেশনগুলি হয়। রোগী এখন পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন।

চিকিৎসা পরিষেবায় বিমলা আশ্বস্ত। সোমবার বিকালে তার ছুটি হয়। তার আত্মীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সাড়ে তিন ঘণ্টার সময় ধরে অপারেশন চলেছিল। বিশিষ্টশল্য চিকিৎসক ডাক্তার ভাসিম আহমেদ। স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিনা ফিরদৌস, দক্ষ এনেস্থিসস্ট ডাক্তার বন্ধনা শাস্ত্রী, হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার তন্ময় সিকদার প্রমুখর তত্ত্বাবধানে এই নজির সৃষ্টিকারী অপারেশন হয়েছে। ডুয়ার্সের পরিকাঠামোতে এই অপারেশন পথপ্রদর্শক। নার্সিংহোমের কর্নধার সুশীল কুমার প্রসাদ বলেন, আমাদের নার্সিংহোমে ভালো পরিকাঠামো রয়েছে। অভিজ্ঞ চিকিৎসক এবং কর্মীদের টিম রয়েছে। আমরা এ ধরনের অপারেশন এবং চিকিৎসা পরিষেবা আরো করতে প্রস্তুত।






