
#মালবাজার: মাল ব্লকের ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা অন্যতম জেলা সম্পাদক তমাল ঘোষ ও অঞ্চল সভাপতি সুকান্ত চৌধুরীর নেতৃত্বে তৃনমুল কংগ্রেস টানা কয়েক বছর ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। এক কথায় ওদলাবাড়ি তমাল ও সুকান্তের গড়। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে অন্যান্য এই জুটির হাত ধরে চলে। কিন্তু, বছর খানেক ধরে ওদলাবাড়ি এই জুটির সঙ্গে তৃনমুল কংগ্রেসের ব্লক নেতৃত্বের বিরোধ চলছে। পরস্পর বিরোধী ক্ষমতা প্রদর্শন শুরু হয়েছে। ব্লক সভাপতি সুশীল কুমার প্রসাদ ( বাবুয়া) কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন ব্লকের পাঁচটি অঞ্চল আমি পরিচালনা করলেও শুধু ওদলাবাড়ি আমার আয়ত্বের বাইরে”।

এইরকম পরিবেশে ওদলাবাড়ি অঞ্চলকে আয়ত্বে আনতে গত ১১ মার্চ ব্লক নেতৃত্ব ওদলাবাড়ি অঞ্চল নেতৃত্বের মাথার উপর আনন্দ মুন্ডাকে আহ্বায়ক হিসাবে বসান। ব্লক নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন তমাল – সুকান্ত জুটির ওদলাবাড়ি অঞ্চল তৃনমুল কংগ্রেস। তারা আহ্বায়ক হিসাবে আনন্দ মুন্ডাকে মানতে নারাজ। তাদের পরিস্কার বক্তব্য, ” কোন রকম আহ্বায়ক ছাড়াই তৃনমুল কংগ্রেস পঞ্চায়েত দখল নিয়েছে। অহেতুক আহ্বায়ক দরকার কি?

এজন্য গত ২৯ এপ্রিল ওদলাবাড়ি অঞ্চল তৃনমুল কংগ্রেসের নেতৃত্ব তমাল- সুকান্তের হাত ধরে বিধানপল্লী কম্যুনিটি হলে প্রতিবাদ সভা হয়। সেই সভায় আহ্বায়ক ও ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। রবিবার পাল্টা ওদলাবাড়ি গার্লস স্কুল সংলগ্ন মাঠে শক্তি প্রদর্শন করেন ব্লক সভাপতি সুশীল কুমার প্রসাদ ও আহ্বায়ক আনন্দ মুন্ডা। সেই সভায় মন্ত্রী বুলু চিকবরাইকের উপস্থিতিতে কয়েকশ মানুষের সামনে ঘোষণা করেন, অঞ্চল নেতৃত্বের মাধ্যমে যদি নির্বাচনের ফলাফল ভালো হতো তবে আহ্বায়ক নির্বাচন করার প্রয়োজন হতো না।

আগামী দিনে সব উন্নয়ন মুলক কাজ কাজ আনন্দ মুন্ডার হাত ধরেই হবে। তার বক্তব্যে পরিস্কার ব্লক সভাপতি তমাল – সুকান্তকে এড়িয়েই কাজ করতে চান। এতেই তৃনমুল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব এক প্রকার প্রকাশ্যে এলো। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তার প্রভাব পড়বে বলে রাজনৈতিক মহলের আশংকা।





