
#মালবাজার: বস্তিবাসীর প্রতিরোধে যৌথ সার্ভে স্থগিত করেই ফিরতে হলো মালবাজারের ভূমি ও ভূমিরাজস্ব দপ্তরের আধিকারিক সহ কর্মীদের। মাল ব্লকের ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের চেল নদীর ধারে দীর্ঘদিন ধরেই বসতি রয়েছে শতাধিক পরিবারের। গত দুই বছর ধরে ওই এলাকার জমি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে রানীচেরা চা বাগান কর্তৃপক্ষের বিবাদ চলছে। চা বাগান কর্তৃপক্ষের দাবি ওই এলাকার ২৭ একর জমি চা বাগানের নামে রেকর্ড ভুক্ত আছে।অন্য দিকে বাসিন্দাদের দাবি তারা পুরুষানুক্রমে ওই জমিতে বসবাস করে আসছে। ওই জমি তাদের অধিকারে রয়েছে। এই বিষয় নিয়ে চা বাগান কর্তৃপক্ষ কলকাতা উচ্চ আদালতের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশক্রমে মাল ভূমি ও ভুমিরাজস্ব আধিকারিক গত ২০ মার্চ ওই এলাকায় রানীচেরা চাবাগান কর্তৃপক্ষকে নিয়ে যৌথ সার্ভে করার জন্য বিঞ্জপ্তি জারি করেন। সার্ভের দিন স্থির ছিল ২৪ মার্চ।

বিঞ্জপ্তি অনুযায়ী সার্ভের সোমবার সকাল থেকে বস্তির কয়েকশ মানুষ স্কুল পড়ুয়া মুখে কালো কাপড় বেধে হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়। বেলা ১১টা নাগাদ মালের ভুমি ও ভুমিরাজস্ব আধিকারিক প্রীতি লামা ও কর্মীরা। আগে থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হাজির ছিলেন মাল থানার আইসি সৌম্যজিত মল্লিক সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। আসেন চাবাগানের প্রতিনিধি। বাসিন্দাদের দাবি তাদের না জানিয়ে বিঞ্জপ্তি জারি করা হয়েছে। তাদের দাবি আত্মপক্ষ সমর্থন করার জন্য সময় দাবি করেন। এই দাবি নিয়ে বাসিন্দারা মহকুমা শাসকের কাছে স্মারক লিপি দেন। টানা কয়েক ঘন্টা চলার বিএল এল আর ও এবং কর্মী ফিরে আসেন।

এনিয়ে ভূমিরাজস্ব আধিকারিক কিছু বলতে না চাইলেও বিজেপির যুব নেতা পবন সিং ও মাল ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি সৈকত দাস বলেন, যারা ওখানে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে
তাদের জমির পাট্টা পাওয়া উচিত। স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের উচিত ছিল জমি জরিপ করে ওই এলাকার মানুষদের জমির পাট্টা দেওয়া। এ নিয়ে চা বাগানের ম্যানেজার বলবিন্দার সিং বাজুয়া বলেন, আমরা সমস্ত ঘটনা জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালত যা সিদ্ধান্ত জানাবেন আমরা তা মাথা পেতে নেব। তবে অনেকের অভিমত দ্রুত সমস্যা সমাধান করে ওই এলাকার বাসিন্দাদের জমির পাট্টা দেওয়া উচিত।






