
#মালবাজার: রা তের বেলা কাগজপত্র বিহীন আসবাবপত্র বোঝাই একটি গাড়ি পরীক্ষা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কর্তব্যরত বনকর্মীদের বিতর্কের জেরে পুলিশের হাতে বন কর্মী হেনস্তা বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে রবিবার বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের তারঘেরা রেঞ্জ চত্বর। দফায় দফায় বনকর্মীদের পরিবার ও বনবস্থির বাসিন্দারা ক্রান্তি- ওদলাবাড়ি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। রাত ৮ টা পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ ও অবরোধ।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বৈকন্ঠপুর বন বিভাগের ডি এফ ও এম রাজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সমীর আহমেদ, মাল মহাকুমা পুলিশ আধিকারীক প্রদীপ রোশন দেশমুখ সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা। রাতে মাল থানার আইসি সৌম্যজিত মল্লিক ক্ষমা প্রার্থনা করলে পরিস্থিতি প্রশমিত হয়। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়।

জানাগেছে, শনিবার রাত আটটা নাগাদ আদপে মাল ব্লকের বাসিন্দা বর্তমানে নকশালবাড়ি থানা এলাকায় কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মী একটি পিক-আপ ভ্যান বোঝাই আসবাবপত্র নিয়ে তার ঘেরা বনাঞ্চলের ওদলাবাড়ি- ক্রান্তি সড়ক ধরে মালবাজার অভিমুখে আসছিলেন। কর্তব্যরত বন কর্মীরা গাড়িটিকে আটকে আসবাবপত্রের কাগজপত্র দেখাতে বলেন। সেই পুলিশ কর্মী নিজের পরিচয় পত্র দেখালেও আসবাবপত্রের কোন নথিপত্র দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ।

এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বনকর্মীরা গাড়িটিকে ছেড়ে দেয়। এরপর ঘটনার স্থলে পৌঁছায় মাল থানার একটি পুলিশের গাড়ি। গাড়িতে থাকা পুলিশকর্মীরা বন কর্মীদের হেনস্তা করে বলে অভিযোগ। এক বন কর্মীকে মাল থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে বনকর্তাদের হস্তক্ষেপে সেই বন কর্মীকে পুলিশ ছেড়ে দেয়।

এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে তারঘেরা রেঞ্জ অঞ্চল। বনকর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাদের সঙ্গে সামিল হন বন বস্তির বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেন বনবিভাগের আধিকারিক ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
রাত আটটা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলার পর বাইরে বেরিয়ে আসেন বনবিভাগের ডিএফও এম রাজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সমীর আহমেদ সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। এম রাজা বলেন, পরস্পর ভুল বোঝাবুঝির জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য পুলিশ অনুতপ্ত এবং আইসি ক্ষমা চেয়েছেন। এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং বিক্ষোভ কারীরা বাড়ি ফেরে।

মাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রদীপ রোশন দেশমুখ বলেন, একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল আলোচনার মাধ্যমে সেই সমস্যা মিটে গেছে। ওই পুলিশকর্মীকে আসবাবপত্রের নথিপত্র বন বিভাগের কাছে দেখাতেই বলা হয়েছে। যদি উনি দেখাতে না পারেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে।




