
#মালবাজার: মজু রি প্রদানের দিনে কোনরকম নোটিশ ছাড়াই বাগান ছেড়ে চলে গেল ম্যানেজার ও সহকারী ম্যানেজাররা। বিপাকে শ্রমিকরা। মাটিয়ালী ব্লকের নাগেশ্বরী চা বাগানের ঘটনা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সমগ্র চা বাগানে। সোমবার সকালে বাগানের শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে বাগান ফ্যাক্টরির সামনে জমায়েত হয়ে গেট মিটিংয়ে সামিল হয়। পড়ে শ্রমিকরা মেটেলি থানায় গিয়ে জমায়েত করে। থানায় একটি লিখিত অভিযোগও জমা করা হয়।

জানা যায়, সোমবার বাগানের শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের মজুরি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন সকালে বাগানে কোন সাইরেন বাজে নি। শ্রমিকরা বাগানের ফ্যাক্টরিতে এসে জানতে পারে যে বাগান ম্যানেজার নেই। বাগানে কোনরকম নোটিশও লাগানো হয়নি। এরপরই শ্রমিকরা হেঁটে এসে জমায়েত হয় মেটেলি থানায়। পশ্চিমবঙ্গ চা মজুর সমিতির তরফে পুরো বিষয়টি জানিয়ে মেটেলি থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করা হয়।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য খ্রিস্টান খেরিয়া বলেন, মজুরি প্রদানের দিনেই বাগান ম্যানেজার কোনরকম নোটিশ ছাড়াই বাগান ছেড়ে চলে গিয়েছে।এদিন ছুটি পয়সা দেওয়ার কথা ছিল। স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েছে বাগানের শ্রমিকেরা। কেন হঠাৎ করে বাগান ম্যানেজার বাগান ছেড়ে চলে গেল সেই বিষয়ে শ্রমিকরা কিছুই জানেনা। আমরা চাই শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি দিয়ে পুনরায় বাগান স্বাভাবিক করা হোক। বিষয়টি মেটেলি বিডিও, জেলা শাসক সহ শ্রম আধিকারিক কেও জানানো হবে।

বাগানের শ্রমিক বন্ধু ওরাওঁ বলেন, কেন ম্যানেজার বাগান ছেলে চলে গেল সেই বিষয়ে কিছুই জানি না। বাগানের সকল শ্রমিকরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই বিষয়ে বাগান কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অন্য এক সুত্রে জানাগেছে, রবিবার বাগান কারখানায় কাজ নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে এক ম্যানেজারের বাকবিতণ্ডা হয়। তারপর এদিন সকালে এই ঘটনা ঘটে। এনিয়ে মালের শ্রম আধিকারিক শুভ্রজ্যোতি সরকার বলেন, এখনো পর্যন্ত আমাদের হাতে কোন নোটিশ আসেনি। তবে শুনেছি এবং ঘটনা ঘটেছে। আমরা চাই দ্রুত সমস্যা মিটে যাক চা বাগানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক।





