
#মালবাজার: গত দুই মাস ধরে মজুরি পাচ্ছে না ডুয়ার্সের মাল ব্লকের মানাবাড়ি চাবাগানের প্রায় ৭০০ জন চা শ্রমিক। অভাব ও অনটনে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে উঠেছে। বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার কর্ম বিরতি পালন করে কারাখানা গেটের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয় চাবাগানে কর্মরত মহিলা ও পুরুষ শ্রমিকরা। যদিও চাবাগান কর্তৃপক্ষ দোলের আগেই মজুরি মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। ডুয়ার্সের ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্ত চেল ও ঘিস নদীর মাঝখানে রয়েছে শতাব্দি প্রাচীন মানাবাড়ি চা বাগান।

প্রায় ৭০০ জন নারী ও পুরুষ চা বাগানে কর্মরত রয়েছে। প্রায় দেড় দশক ধরে এই চা বাগান নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলছিল। অবশেষে গত ২০১৯ সালে এক নতুন কোম্পানি চা বাগান পরিচালনার দায়িত্ব ভার নেয়। তারপর থেকে চা বাগানের পরিবেশ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। শ্রমিকদের মজুর নিয়মিত হয়। কিন্তু, গত বছর শেষ দিকে আবার সমস্যা শুরু হয় শ্রমিকদের মজুর বকেয়া হয়ে যায়। বিক্ষোভ রত মহিলা শ্রমিকরা জানায়, গত জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসের ৪টি পাক্ষিক মজুরি বকেয়া রয়েছে।

আরেকটি পাক্ষিক মজুরি দেওয়ার সময় এসে গেছে। মজুরি না পেয়ে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে উঠেছে। তাই মজুরির দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হয়েছি। বিষ্ণু ওরাও নামের এক শ্রমিক জানান, অবস্থা খুব খারাপ, এভাবে চলতে থাকলে বাগানে কাজ করা সম্ভব হবে না। সংসার চলাতে বাইরে গিয়ে শ্রমিকের কাজ করতে হবে। এদিন সকাল ১০ টা পর্যন্ত ধর্না বিক্ষোভ চালিয়ে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে যায়। চা বাগানের ম্যানেজার পবন ছেত্রী জানান, কোম্পানির কিছু সমস্যার জন্য দুই মাসের মজুরি বকেয়া হয়ে গেছে।

কোম্পানি আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করছে বকেয়া মেটানোর। আশা করছি দোলের আগেই সমস্যা মিটে যাবে এবং শ্রমিকদের বকেয়া মজুর মিটিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। জানা গেছে, এই চা বাগান কর্তৃপক্ষের ডুয়ার্সে আরো কয়েকটি চা বাগান রয়েছে সেখানেও মজুরি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। যদিও কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হবে।





