
#ইসলামপুর: মেরামত করা হলেও রাস্তার হাল ফেরেনি। গত দু’বছর থেকেই রাস্তার এই অবস্থার জেরে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। উত্তর দিনাজপুর জেলার রামগঞ্জ পি ডব্লিউ ডি রোডের অবস্থা এখন একেবারেই বেহাল। অবশেষে রাস্তা মেরামতের জন্য নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ শুরু হলেও রাস্তার অবস্থা আগের মতই রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইসলামপুর ব্লকের রামগঞ্জ পোস্ট অফিস মোড় থেকে তিস্তা ক্যানাল ব্রিজ অবধি প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার হাল ফের বেহাল।

জানা যায়, ১২ সেপ্টেম্বর রাতের অন্ধকারে কাজ হয়ে গেলেও ছোট ছোট নুড়ি পাথরগুলো রাস্তার উপরে চলে আসায় অনেকে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন। রাতের অন্ধকারে এমন দায় সারা কাজ কেন হবে তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। স্থানীয় বাসিন্দা সহ পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশের অভিযোগ এই রোডের জন্য নতুন ভাবে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হলেও রাস্তার কাজের মেরামত নিম্ন থেকে নিম্নতর হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক স্থানীয় মানুষ ।

মনসুর আলম নামে এক টোটো চালক জানাচ্ছেন কোন কাজই হয়নি। এমনকি তিনি বলেন যে ৫০ হাজার টাকারও কাজ হয়নি। পাশাপাশি বড় বড় গর্ত রয়েছে বিভিন্ন ধরনের । যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এমনকি তিনি জানাচ্ছেন, রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে কাজ করা হয়েছে।

এছাড়াও নজরুল ইসলাম নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানাচ্ছেন , রাস্তার কাজ কখন কোথায় হল কেউ বলতে পারছে না। যদি হতো তাহলে এতগুলো গর্ত থাকত না । এমনকি তিনি বলেন যে ১০ লক্ষ টাকার নাকি কাজ রয়েছে । তবে মনে হচ্ছে এক লক্ষ টাকারও কাজ হয়নি।

রামগঞ্জ এলাকার আরো একজন স্থানীয় নুরুল হক জানাচ্ছেন ,রাস্তার সব থেকে নিম্নমানের কাজ হয় রামগঞ্জে । এমনকি তিনি জানাচ্ছেন একদিনের কাজ রাতের আঁধারে এক ঘন্টায় কিভাবে হয়ে গেল এখনো অনেক গর্ত রয়েছে প্রচুর এক্সিডেন্ট হচ্ছে। এই কাজকে কোনভাবে মেনে নেওয়া যাবে না পুনরায় কাজ করার দাবি তুলছেন।

রামগঞ্জ এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ কামালকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানাচ্ছেন, কাজের স্কিম কত টাকা রয়েছে তিনি কিছু জানেন না তবে তিনি এটা জানাচ্ছেন যে কাজ এখনো বাকি রয়েছে তিনিও, জানাচ্ছেন কাজ যদি আসলেই নিম্নমানের হয়ে থাকে তবে কাজ পুনরায় করিয়ে নেব আমরা।

এ বিষয়ে রামগঞ্জ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের প্রতিনিধি রঞ্জিত রায় জানাচ্ছেন, আমি এই কাজের বিষয়ে কিছু জানিনা বলে তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে এই বিষয়ে ঠিকাদারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোন মন্তব্য করবেন না বলে জানান।


