#মালবাজার: “জাস্টিস ফর আর জি কর” এই স্লোগান তুলে গত ২৭ আগষ্ট রাজ্যের ছাত্র সমাজ নামের একটি সংগঠন নবান্ন অভিযানের ডাক দেয়। সেই অভিযানের সময় তাদের উপর পুলিশি প্রতিরোধ ও নিগ্রহের অভিযোগে বিজেপির পক্ষ থেকে ১২ ঘন্টার বাংলা বন্ধের ডাক দেওয়া হয়। বুধবার ছিল বিজেপির ডাকা বাংলা বন্ধের দিন। ডুয়ার্সের মাল মহকুমা এলাকায় কোথাও বন্ধ আবার কোথাও খোলা এবং স্বাভাবিক কাজের মধ্যে দিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল। বন্ধের পক্ষে প্রচার ও পিকেটিং করতে গিয়ে বিজেপির নেতা ও কর্মী সহ পুলিশের হাতে আটক হলেন ৪১ জন।

এদিন সকাল থেকে বন্ধের সমর্থনে মালবাজার শহরের রাস্তায় নামেন বিজেপির মাল টাউন মন্ডল সভাপতি নবীন সাহা, মাল বিধানসভা আহ্বায়ক রাকেশ নন্দী সহ বিজেপির কর্মীরা। ক্যালটেক্স মোরে এলাকায় পিকেটিং করতে শুরু করেন। আটকে দেওয়া হয় স্টেট বাস সহ কিছু গাড়ি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মাল থানার আইসি সমীর তামাং সহ পুলিশ কর্মীরা। নেতা ও কর্মী সহ ১৭ জনকে আটক করে।

এরপরই বন্ধের বিরোধিতা করে মাল টাউন কমিটির সভাপতি অমিত দে’র নেতৃত্বে বাইক র্যালি বের হয়। সমর্থন ও বিরোধিতার মাঝে সকালের দিকে মালবাজার শহরের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও পরে খুলে যায়। বাজার রোড, জাতীয় সরকের পাশে,স্টেশন রোড ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেশিরভাগ দোকান খোলা থাকতে দেখা যায়। এদিন ব্যাংক, সরকারি দপ্তর, সরকারি স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খোলাই ছিল। খোলা ছিল ডেইলি মার্কেট তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তায় লোক কম ছিল।

সরকারি বাস রাস্তায় নামলেও বেসরকারি বাস, অটো সহ যাত্রীবাহী ছোট গাড়ি চলাচল করেনি। মাল স্টেট বাস ডিপো ইনচার্জ অপুর্ব সরকার বলেন, অন্য দিনের তুলনায় দুটি গাড়ি বেশি চালিয়েছি। দুটি ঘটনা ছাড়া চলাচলে অসুবিধা হয় নি। মালবাজার শহরের মতো ওদলাবাড়ি, মেটেলি নাগরাকাটা এলাকায় বন্ধের সমর্থনে ও বিরোধিতা করে রাস্তায় নামে দুই পক্ষেই রাস্তায় নামে। যার জেরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

বিভিন্ন ঘটনায় মেটেলি ব্লকে ৯ জন ও নাগরাকাটা ব্লকে ১৫ জনকে পুলিশ আটক করে। এদিন দুফুরে মালবাজার থানায় আটক কর্মীদের সাথে দেখা করতে আসেন সাংসদ জয়ন্ত রায়। তিনি বলেন, আমাদের কর্মীদের মনবল অটুট আছে। রাজ্যের অপশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে। অন্যদিকে ডুয়ার্সের মাল মহকুমা এলাকার সব চাবাগানে স্বাভাবিক কাজ হয়েছে।




