
#মালবাজার: মাল শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত কলোনি মাঠ। শহরের দুর্গাপূজা, কালীপূজো সহ নানা অনুষ্ঠান হয়। রাজনৈতিক সভাও হয়। বর্তমানে পুরসভার তত্ত্বাবধানে কলোনী মাঠ ডুয়ার্স এর ঐতিহ্যবাহী রথ মেলার আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। আর তার মধ্যেই আদিবাসী জনসমাজের কিছু নেতৃত্ব এবং বাসিন্দারা কলোনি ময়দান নিয়ে ফের একবার পাল্টা দাবি তুললেন। তাদের বক্তব্য এই মাঠের এলাকা বংশপরম্পরায় তাদের পূর্বজদের। অথচ মেলা আয়োজন নিয়ে তাদের কোন।


মাল বাসস্ট্যান্ডের আদিবাসী সহায়তা কেন্দ্রে সাংবাদিক সম্মেলনে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের মাল ব্লক সম্পাদক বাবলু মাঝি অভিযোগ করেন, মাল শহরের কলোনি মাঠ বংশ-পরম্পরায় আদিবাসী পরিবারের। ঐ পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের পাওয়ার অফ এটর্নিও দেওয়া হয়েছে। রথ মেলা আয়োজনের নামে অর্থ রোজগারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ মাঠের মালিকানাধীন ব্যাক্তিদের কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। আলোচনাও করা হয় নি।

আমরা বিষয়টি প্রশাসনিক স্তর এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ বিভিন্ন স্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ পাঠিয়েছি। জমির দাবীদার বলে দাবি করা এক ব্যক্তি রাজেন মাহালি বলেন, আমরা চাই মেলা হোক কিন্তু আমাদের সাথে আলোচনাও হোক। এদিকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুমা দাস দে বলেন, বর্তমানে মাল পুরসভার পুর প্রধান বাইরে রয়েছেন। এ বিষয়ে যা বলার উনিই বলবেন।

পারিবারিক কাজে মাল পুরসভার পুরপ্রধান স্বপন সাহা বর্তমানে মহারাষ্ট্রের পুনেতে আছেন। মোবাইলে তার সাথে যোগাযোগ করলে স্বপন বাবু বলেন, কলোনি মাঠ মাল শহরবাসীর ভাবাবেগের সাথে যুক্ত। রথ মেলা, দুর্গা পূজা, কালীপুজা সহ বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠান সহ নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। জমি সংক্রান্ত বিষয়টি আদালতের বিচার বিবেচনাধীনে রয়েছে। আমরা ঐ আদিবাসী পরিবারের সদস্যদের পূর্বেও সহযোগিতা করেছিলাম। এবার ফের পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে। জানাগেছে, মাল কলোনির ঐতিহ্যবাহী মাঠের এক আদিবাসী পরিবারের। প্রায় ৭০ বছর ধরে ওই মাঠে রথ মেলা হয়ে আসছে।

উল্লেখ্য এর পূর্বেও কয়েক দফার কলোনি মাঠ নিয়ে দাবি, পাল্টা দাবি উঠেছিল। এদিকে রথ মেলা আসন্ন। ডুয়ার্সের ঐতিহ্যবাহী মেলাকে কেন্দ্র জোরদার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। মাঠ জুড়ে স্টল তৈরি করা হয়েছে। শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের সূত্রধর বাড়িতে রথ রয়েছে। সেখান থেকেই রবিবার রথ শহর পরিক্রমায় বের হবে। পুরসভার পক্ষ থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি এখন জোরকদমে শুরু হয়েছে।


